Top News

চাপাবাজীতে বরিশালকে হারিয়ে, প্রথম স্থান অধিকার করছেন শরিয়তপুর জেলা।


 শরিয়তপুর জেলা সম্প্রতি একটি অনন্য প্রতিযোগিতায় চাপাবাজিতে বরিশালকে হারিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। এই প্রতিযোগিতা দেশের বিভিন্ন জেলার অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে প্রতিযোগীদের উদ্দেশ্য ছিল রসিকতা ও কৌশলের মাধ্যমে সৃজনশীল চাপাবাজি প্রদর্শন করা।

প্রতিযোগিতার বিবরণ

ঢাকার একটি নামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। অংশগ্রহণকারী প্রতিটি জেলা থেকে তিনজন প্রতিনিধি অংশ নেন, যারা তাদের জেলা ও সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করেন। প্রতিযোগিতায় বিচারক প্যানেলে ছিলেন দেশের বিশিষ্ট রম্য লেখক, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং কৌতুক অভিনেতারা।

শরিয়তপুরের পথচলা

প্রতিযোগিতার শুরু থেকেই শরিয়তপুরের দলটি তাদের অনবদ্য কৌশল এবং উদ্ভাবনী বক্তব্য দিয়ে সবার মনোযোগ আকর্ষণ করে। তাদের প্রধান প্রতিনিধি, কৌশিক, একাধিক বর্ণনামূলক গল্পের মাধ্যমে নিজেদের জেলাকে "বাংলাদেশের চাপাবাজির রাজধানী" হিসেবে উপস্থাপন করেন।

তাদের সেরা চাপা ছিল:

> “শরিয়তপুরে এমন নদী আছে, যেখানে মাছ ধরতে গেলে মাছ নিজেই এসে ডাঙায় লাফিয়ে উঠে, শুধু মানুষজনকে সময় বাঁচানোর জন্য!”

এমন রসিক বক্তব্যে বিচারক প্যানেল ও দর্শকরা হাসির রোল তুলেছিল। বরিশাল দল তাদের ঐতিহ্যবাহী চাপা "আমাদের নদীতে ইলিশ মাছের ঘ্রাণ বাতাসে আসে" বলে পাল্টা প্রতিযোগিতা করলেও তা শরিয়তপুরের অভিনবত্বের সামনে টিকতে পারেনি।

পুরস্কার প্রদান

শরিয়তপুর দলকে একটি স্বর্ণপদক এবং ১ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করা হয়। পাশাপাশি, তাদের নামে একটি বিশেষ রম্য ম্যাগাজিন প্রকাশের ঘোষণাও করা হয়।

প্রতিক্রিয়া

পুরস্কার গ্রহণের পর কৌশিক বলেন, “চাপাবাজি শুধু মজা নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতি এবং সৃজনশীলতার অংশ। আমরা গর্বিত যে আমাদের জেলা এই প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে।”

এই জয়ে শরিয়তপুর জেলায় এক আনন্দমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। সামাজিক মাধ্যমে এই জয়ের খবর ছড়িয়ে পড়েছে এবং অন্য জেলার মানুষজন শরিয়তপুরকে নতুন করে চেনার সুযোগ পাচ্ছেন।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন