বিজ্ঞানী জোসেফ একজন প্রতিভাবান অথচ বিতর্কিত গবেষক। তার জীবন একটিমাত্র প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই কেটেছে—মেয়েদের মাথায় মস্তিষ্কের উপস্থিতি নিয়ে। তিনি এই রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় গবেষণা চালিয়েছেন, অথচ কোনো ফলাফল পাননি।
গবেষণার শুরু
ত্রিশ বছর আগে, ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন তরুণ গবেষক হিসেবে জোসেফ প্রথমবার তার তত্ত্ব উপস্থাপন করেন। তিনি দাবি করেছিলেন, "নারীদের মস্তিষ্ক এক ধরণের আলোক কণা দিয়ে তৈরি, যা আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে শনাক্ত করা যায় না।" এই বক্তব্য বিজ্ঞানী মহলে তুমুল বিতর্ক তৈরি করে। অনেকে তার এই তত্ত্বকে অবজ্ঞা করে বলেন, "এটা বিজ্ঞান নয়, পাগলামি।"
তত্ত্ব ও প্রযুক্তি
জোসেফ তার গবেষণার জন্য সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন। তিনি মেয়েদের মাথার ভেতর অদৃশ্য মস্তিষ্ক খুঁজতে আল্ট্রাসাউন্ড থেকে শুরু করে নিউরোসাইন্টিফিক লেজার ইমেজিং পর্যন্ত সবরকম পদ্ধতি প্রয়োগ করেছেন। প্রতিবারই তার ফলাফল একই রকম—"কিছুই খুঁজে পাওয়া যায়নি।"
পৃথিবীজুড়ে অভিযান
জোসেফ মেয়েদের মস্তিষ্ক খুঁজতে হিমালয়ের শীর্ষে গেছেন, সাহারা মরুভূমি পাড়ি দিয়েছেন, এমনকি সমুদ্রের গভীরতাতেও অনুসন্ধান চালিয়েছেন। তার দাবি ছিল, "মস্তিষ্ক খুঁজে পেতে হলে মেয়েদের ভাবনার গভীরতা বুঝতে হবে।" এক পর্যায়ে তিনি বলেন, "সম্ভবত মস্তিষ্ক এমন এক জৈব রসায়ন, যা সময়ের সাথে ধ্বংস হয়ে যায়।"
বর্তমান অবস্থা
আজ ত্রিশ বছর পরও জোসেফ তার গবেষণায় লেগে আছেন। তিনি বলেন, "আমি বিশ্বাস করি, মস্তিষ্ক আছে। শুধু আমি এখনো সঠিক পদ্ধতি খুঁজে পাইনি।" তার গবেষণাগার এখন একটি জাদুঘরে রূপান্তরিত হয়েছে, যেখানে দর্শনার্থীরা তার গবেষণার অদ্ভুত যন্ত্রপাতি দেখতে আসেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন