বিখ্যাত যৌন চিকিৎসক ডা. রাশেদ তার সুনাম আর কর্মব্যস্ত জীবন নিয়ে কাটাচ্ছিলেন। পেশাগত জীবনে তিনি শত শত মানুষের সম্পর্ক ও শারীরিক সমস্যার সমাধান করলেও, তার নিজের সংসারে ছিল অশান্তি। স্ত্রী সুমাইয়া ছিলেন রূপসী এবং প্রাণবন্ত, কিন্তু দাম্পত্য জীবনে তাদের সম্পর্কের মাঝে শীতল দূরত্ব ছিল।
শহরের অনেকেই জানতেন যে, ডা. রাশেদের শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে তাদের দাম্পত্য জীবনে সমস্যা ছিল। এই বিষয়ে নিয়ে মাঝে মাঝেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডা চলত। এ নিয়ে ডা. রাশেদ ছিলেন বেশ বিব্রত। স্ত্রী সুমাইয়ার অভিযোগ ছিল, তিনি তার চাহিদা পূরণে অপারগ। এদিকে ডা. রাশেদ তার পেশাগত দায়িত্বে এতটাই ব্যস্ত ছিলেন যে, ব্যক্তিগত সমস্যাগুলো কখনো সমাধানে তেমন মনোযোগ দেননি।
ঘটনার শুরু হয় একদিন সকালে। ডা. রাশেদ যখন ক্লিনিকে ছিলেন, তখন হঠাৎ জানতে পারেন যে তার স্ত্রী সুমাইয়া এবং তাদের দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত ড্রাইভার কামাল একসঙ্গে বাড়ি ছেড়েছেন। তারা দুজনই নিখোঁজ। বিষয়টি জানাজানি হতেই পুরো শহরে আলোড়ন পড়ে যায়।
কিছু প্রতিবেশী জানান, কামাল ছিলেন মধ্যবয়সী, কিন্তু বেশ রসবোধসম্পন্ন এবং প্রাণবন্ত। ডা. রাশেদের স্ত্রী সুমাইয়ার সঙ্গে তার বন্ধুত্ব নিয়ে আগে থেকেই কানাঘুষা চলছিল। স্থানীয় একটি বাজারের চায়ের দোকানে সবাই বলাবলি করছিলেন, “যৌন চিকিৎসক নিজের সমস্যার সমাধান করতে পারলেন না, তাই স্ত্রী অন্য পথ বেছে নিলেন।”
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন