ভারতের সরকারি সংস্থা সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে তারা উন্নত দেশের আদলে বাংলাদেশে মেথর নিযুক্তি প্রকল্প চালু করতে চায়। প্রকল্পটির লক্ষ্য হলো শহরগুলোর স্বাস্থ্য ও পরিবেশ উন্নত করা এবং নিম্নবিত্ত জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা। এই প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে মেথর বা স্যানিটারি কর্মীদের আধুনিক প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তোলা হবে।
প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
প্রকল্পটি তিনটি মূল উদ্দেশ্যে চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে:
1. শহরের স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা উন্নয়ন: উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশের শহরগুলোতেও উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হবে।
2. কর্মসংস্থান সৃষ্টি: নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য টেকসই কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা।
3. প্রযুক্তি স্থানান্তর ও প্রশিক্ষণ: আধুনিক পরিচ্ছন্নতা সরঞ্জাম ও প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রশিক্ষণ প্রদান।
প্রকল্পের কার্যক্রম
১. নির্বাচন প্রক্রিয়া: প্রাথমিকভাবে দেশের বড় শহরগুলোতে দরিদ্র জনগোষ্ঠী থেকে কর্মী নির্বাচন করা হবে।
২. প্রশিক্ষণ কর্মশালা: নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীদের আধুনিক পরিচ্ছন্নতা সরঞ্জাম ও পদ্ধতি ব্যবহারে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
৩. উপকরণ সরবরাহ: প্রতিটি কর্মীকে উন্নত সুরক্ষা পোশাক, যান্ত্রিক ঝাড়ু, এবং বর্জ্য সংগ্রহের জন্য অত্যাধুনিক যানবাহন সরবরাহ করা হবে।
৪. পরীক্ষামূলক কার্যক্রম: প্রকল্পটি প্রাথমিকভাবে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট শহরে চালু করা হবে। সফল হলে অন্যান্য শহরে সম্প্রসারণ করা হবে।
প্রকল্পটি নিয়ে দেশের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ মনে করছেন, এটি দেশের পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। অন্যদিকে, সমালোচকরা বলছেন, বিদেশি সংস্থার এই ধরনের কার্যক্রম দেশের শ্রম বাজারে প্রতিযোগিতা তৈরি করতে পারে।
সরকারের প্রতিক্রিয়া
বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার বিভাগ এই প্রকল্প নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। তারা বলছেন, যদি এই প্রকল্প দেশের পরিচ্ছন্নতা খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে, তবে এটি বাস্তবায়নে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
এই প্রকল্প সফল হলে, বাংলাদেশের শহরগুলোতে উন্নত দেশের মতো পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হতে পারে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন