বছর শেষ হবার আগেই গবেষণার ফলাফল জানিয়েছেন সিসি ইনস্টিটিউটের গবেষকরা। তারা বলছেন, পালিয়ে বিয়ে করলে মানুষের আয়ু বৃদ্ধি পায়। গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় ১০,০০০ মানুষের উপর। ফলাফলে দেখা গেছে, যারা প্রেমে পড়ে পরিবারের অনুমতি ছাড়া পালিয়ে বিয়ে করেন, তাদের আয়ু গড়ে ৫ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত বেশি হতে পারে।
কেন বাড়ে আয়ু?
গবেষকদের মতে, পালিয়ে বিয়ে করার অভিজ্ঞতা মানুষের মধ্যে একধরনের "ইমোশনাল এড্রেনালিন রাশ" সৃষ্টি করে। এই অনুভূতি শরীরে সুখের হরমোন যেমন সেরোটোনিন ও ডোপামিনের মাত্রা বাড়ায়। এতে হৃদপিণ্ড শক্তিশালী হয়, মানসিক চাপ কমে, এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
গবেষণার উদাহরণ
একজন গবেষণায় অংশগ্রহণকারী, ৩৫ বছর বয়সী আনোয়ার হোসেন খোকা , যিনি ১২ বছর আগে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন, বলেন, "পালিয়ে বিয়ে করার সময় মনে হয়েছিল যেন কোনো অ্যাকশন সিনেমার দৃশ্যের মধ্যে আছি। সেই উত্তেজনা আমাদের সম্পর্কে মজবুত বন্ধন তৈরি করেছে।"
পরিবারের আপত্তি ও সম্পর্কের স্থায়িত্ব
গবেষণায় আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে পালিয়ে বিয়ে করা দম্পতিদের সম্পর্কের স্থায়িত্ব বেশি হয়। কারণ তারা একে অপরের জন্য ঝুঁকি নিতে এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে প্রস্তুত থাকেন।
গবেষকদের মতামত
সিসি ইনস্টিটিউটের প্রধান গবেষক ড. আলম চাঁন বলেন, "পালিয়ে বিয়ে করা মানুষদের জীবনধারা অনেকটাই রোমাঞ্চকর এবং তারা জীবনের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব রাখেন। এতে তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে।"
সতর্কতা
তবে গবেষকরা পরামর্শ দিয়েছেন, এই তথ্যকে প্রেরণা হিসেবে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করার আগে সম্পর্কের প্রতি গভীর প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত করতে হবে। কারণ ভুল সিদ্ধান্তের কারণে আয়ু বাড়ার পরিবর্তে মানসিক যন্ত্রণা ও আয়ু হ্রাস হতে পারে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন