দেশের রাজনৈতিক পালাবদলের পর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। নতুন শাসনের শুরুতে দলের নাম, প্রতীক, এবং স্লোগানগুলো জনসম্মুখ থেকে মুছে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে, দলটির কিছু কর্মী ও নেতাকর্মী গোপনে নিজেদের আদর্শ বজায় রাখার চেষ্টা করছিল। তারা গভীর রাতে দেয়ালে "জয় বাংলা" স্লোগান লিখে নিজেদের আন্দোলন জীবিত রাখার চেষ্টা করছিল।
তাদের মধ্যে একজন ছিলেন ছাত্রলীগের সাহসী এক নেত্রী। তিনি দলের প্রতি একনিষ্ঠ ছিলেন এবং রাজনৈতিক প্রতীক পুনঃপ্রতিষ্ঠায় রাতভর কাজ করতেন। এক রাতে, দলীয় স্লোগান লিখতে গিয়ে তিনি কিছু বখাটে ছেলের দ্বারা আক্রান্ত হন। এই দুর্বৃত্তরা তাকে ধরে নিয়ে যায় এবং তার ওপর নৃশংস নির্যাতন চালায়। পরবর্তীতে এই ঘটনার ফলস্বরূপ তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়েন।
প্রভাব:
এ ঘটনা জানাজানি হলে সমাজে এক দ্বিধা সৃষ্টি হয়। একদিকে, ভুক্তভোগী নেত্রী ছিলেন দলের একটি প্রতীক, যার সাহস এবং ত্যাগ দলের প্রতি তার অঙ্গীকারকে দেখায়। অন্যদিকে, এ ঘটনা একটি বড় সামাজিক ও রাজনৈতিক সংকটের দিকেও ইঙ্গিত করে। যারা তাকে নির্যাতন করেছিল, তারা রাজনৈতিক বা সামাজিক অপব্যবহার এবং নারীর প্রতি সহিংসতার একটি বড় উদাহরণ হয়ে দাঁড়ায়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন