বিজয় দিবসে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দেশের সমস্ত পার্ক


 বিজয় দিবস একটি গৌরবময় জাতীয় দিবস, যা বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের স্মরণে উদযাপিত হয়। এ দিনটিকে গভীর শ্রদ্ধা ও আবেগের সঙ্গে পালন করা হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে তরুণ-তরুণীরা এই দিনটিকে ভালোবাসা দিবসের মতো উদযাপন করে এবং পার্কগুলোতে ভিড় জমায়। এ প্রবণতাকে নিরুৎসাহিত করতে সরকার বা স্থানীয় প্রশাসন অনেক সময় পার্কগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।

এই সিদ্ধান্তের পেছনে কয়েকটি মূল কারণ রয়েছে:

1. বিজয় দিবসের তাৎপর্যকে সমুন্নত রাখা: বিজয় দিবসের মূল উদ্দেশ্য হলো মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং দেশপ্রেম জাগ্রত করা। তরুণদের এমন কার্যকলাপ এই দিবসের তাৎপর্যকে কিছুটা বিকৃত করে দেয় বলেই মনে করেন অনেকে।

2. জনশৃঙ্খলা বজায় রাখা: বিশেষ দিনগুলোতে পার্কে বেশি ভিড় জমলে শৃঙ্খলার সমস্যা দেখা দেয়। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে এবং পারিবারিক পরিবেশ সুরক্ষিত রাখতে এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

3. সমালোচনা এড়ানো: সামাজিক এবং ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এ ধরনের কর্মকাণ্ড অনেক সময় সমালোচিত হয়। প্রশাসন চাইলে যাতে দিবসের মর্যাদা নষ্ট না হয়, সেজন্য আগাম ব্যবস্থা নেয়।

তবে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে সমাজে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। একদিকে কেউ কেউ এ উদ্যোগকে সমর্থন করেন, অন্যদিকে কেউ এটিকে ব্যক্তি স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখেন। অনেকে মনে করেন, তরুণ প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস এবং দিবসের তাৎপর্য শেখানোর মাধ্যমে তাদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করা উচিত, নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে নয়।

এ বিষয়ে সঠিক ভারসাম্য রক্ষা করা এবং তরুণদের মাঝে বিজয় দিবসের প্রকৃত তাৎপর্য ছড়িয়ে দেওয়াই হতে পারে স্থায়ী সমাধান।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন