কর্মক্ষেত্রে নিয়মিত কাজের বাইরে অতিরিক্ত সময় দিয়ে কাজ করলে ওভারটাইম বেতন পাওয়ার কথা। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, এই প্রতিষ্ঠানটিতে ওভারটাইমের জন্য কর্মচারীদের ন্যায্য বেতন দেওয়া হতো না। প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মচারী দীর্ঘদিন ধরে এই নিয়ে সুপারভাইজারের কাছে অভিযোগ জানালেও কোনো সমাধান পাননি। বরং তাকে প্রতিবার আশ্বাস দিয়ে এড়িয়ে যাওয়া হতো।
অবশেষে হতাশ ওই কর্মচারী এক অভিনব প্রতিশোধ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
ঘটনার বিবরণ
অভিযোগ অনুসারে, ওই কর্মচারী সুপারভাইজারের ব্যক্তিগত জীবনের কিছু দুর্বল দিককে কাজে লাগান। জানা যায়, সুপারভাইজারের স্ত্রী ছিলেন কর্মচারীর পরিচিত। একসময় তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে, যা শেষ পর্যন্ত পালানোর মতো চূড়ান্ত ঘটনায় রূপ নেয়।
একদিন কাজ শেষে সুপারভাইজার বাড়ি ফিরে দেখেন, তার স্ত্রী নেই এবং একটি চিরকুট রেখে গেছেন। সেই চিরকুটে লেখা ছিল, "তোমার অযত্ন আর অবহেলার কারণে আমি এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।"
প্রতিক্রিয়া
এই ঘটনা কর্মক্ষেত্রে ও আশপাশের এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। সহকর্মীদের কেউ কেউ এটিকে প্রতিশোধের চরম রূপ বলে অভিহিত করেছেন। আবার কেউ কেউ বলেছেন, সুপারভাইজারের উচিত ছিল কর্মচারীদের প্রতি আরো সহানুভূতিশীল হওয়া।
প্রতিষ্ঠানের প্রতিক্রিয়া
প্রতিষ্ঠানটি এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। তবে জানা গেছে, ওই কর্মচারীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে তার অবস্থান বা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি।
বিশ্লেষণ
এ ধরনের ঘটনা কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ এবং নেতৃত্বের ভূমিকার ওপর গুরুতর প্রশ্ন তোলে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কর্মক্ষেত্রে ন্যায়বিচার এবং কর্মীদের প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ নিশ্চিত করা হলে এমন ঘটনা এড়ানো সম্ভব।
এই মর্মান্তিক এবং একই সঙ্গে অদ্ভুত ঘটনাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দেয় যে, দায়িত্বে অবহেলা শুধু কর্মক্ষেত্রেই নয়, ব্যক্তিগত জীবনেও মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন