বউ টিকটকে বিজি বিরক্ত হয়ে শালিকে বিয়ে করলেন যুবক রাসেল

রাসেল একজন দিনমজুর যুবক, যার স্বপ্ন ছিল ঘরোয়া, মমতাময়ী স্ত্রী ও সোনার সংসার। স্বপ্নের মতোই একজন বউ তিনি পেয়েছিলেন, যার নাম ছিল সুমাইয়া। প্রথম দিকে সুমাইয়া খুবই ভালো মনের মেয়ে ছিল এবং সংসারের সব দায়িত্ব বেশ যত্ন নিয়ে সামলাতো। কিন্তু হঠাৎ করে একদিন সুমাইয়া টিকটকে ভিডিও করা শুরু করলো। তার বন্ধুরা টিকটক করতে গিয়ে বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল, তাই সুমাইয়াও সেই জনপ্রিয়তার জোয়ারে নামার ইচ্ছায় ছিল। প্রথমে রাসেল মেনে নিলো, কিন্তু ধীরে ধীরে সুমাইয়ার টিকটক আসক্তি এমন পর্যায়ে পৌঁছালো যে সে ঘর-সংসারের কাজ বাদ দিয়ে সারাদিন কেবল টিকটকে ভিডিও বানাতেই ব্যস্ত থাকতো। দিনে দিনে রাসেল তার স্ত্রীকে হারিয়ে ফেলছিলো। তারা আর আগের মতো সময় কাটাতে পারছিলো না। সংসারের সুখ যেন ফিকে হয়ে যাচ্ছিলো। একদিন সুমাইয়া এমনই ভিডিও বানাতে ব্যস্ত ছিলো যে রান্নাঘরের গ্যাস অন করাই ভুলে গিয়েছিল। ভাগ্য ভালো, কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি, কিন্তু রাসেল বুঝতে পারলো এই অবস্থা চলতে থাকলে তার সংসার ভাঙনের মুখে পড়বে। সে সুমাইয়াকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করলো, কিন্তু টিকটকের মায়াজাল থেকে বের করে আনা সম্ভব হলো না। রাসেলের জীবনে তখন একমাত্র সাহারা হয়ে উপস্থিত হলো তার শালী রূপা। রূপা দেখতো তার বোন কীভাবে নিজের সংসার, স্বামী সবকিছুকে অবহেলা করছে এবং সে মন থেকে দুঃখিত ছিল রাসেলের জন্য। রূপা খুবই যত্নশীল ও মমতাময়ী ছিল এবং সবসময় চেষ্টা করতো রাসেলকে আনন্দ দেওয়ার। ধীরে ধীরে রাসেলের মনেও রূপার প্রতি এক গভীর ভালোবাসা জন্ম নিতে লাগলো। একদিন রাসেল সাহস নিয়ে রূপার সামনে তার মনের কথা প্রকাশ করলো। রূপাও ইতিমধ্যে রাসেলের প্রতি তার মনের গভীরে একটা টান অনুভব করেছিল। তাদের এই অনিচ্ছাকৃত ভালোবাসার কথা জানতে পেরে সুমাইয়া অবশেষে বুঝতে পারে যে টিকটকের নেশায় সে তার সংসারকেই হারিয়ে ফেলতে বসেছে। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। শেষাংশে, রাসেল ও রূপার বিয়ে হয় এবং তাদের সংসার টিকটক ছাড়াই সুখে পূর্ণ থাকে। সুমাইয়া তার ভুল বুঝতে পেরে নতুন করে জীবন শুরু করার চেষ্টা করে এবং টিকটকের নেশা থেকে নিজেকে মুক্ত করার প্রতিজ্ঞা নেয়।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন