তাহমিনা এবং ইমন অনেক দিন ধরে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন। ইমন তাহমিনাকে খুব ভালোবাসত এবং তাকে নিজের জীবনের অংশ হিসেবে কল্পনা করেছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই একদিন ইমন জানতে পারে, তাহমিনার পরিবার তার বিয়ে ইমনের চাচা, আবদুল করিমের সঙ্গে ঠিক করেছে।
ইমন এই খবর শুনে প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেনি। তাহমিনা তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়, আর ইমনের পরিবারও তাকে এই বিষয়ে কোনো কথা বলতে দেয় না।
ইমন বারবার চেষ্টা করেও বুঝতে পারে, এই বিয়ে ঠেকানোর ক্ষমতা তার নেই।
বিয়ের দিন এলে ইমন তার অনুভূতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়। সে সিদ্ধান্ত নেয়, বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রতিবাদ জানাবে। বিয়ের হলঘরে গিয়ে সে দেখে, তাহমিনা চাচা করিমের পাশে বসে আছে। সব অতিথি আনন্দে মগ্ন। এই দৃশ্য ইমনের ভেতরের ক্ষোভকে উসকে দেয়।
ইমন ক্ষিপ্ত হয়ে সবার সামনে তার প্রতিবাদ জানাতে শুরু করে। সে চিৎকার করে বলে, “তাহমিনা আমার প্রেমিকা, তাকে অন্য কারও সঙ্গে বিয়ে দেওয়া যাবে না!” এ কথা শুনে অতিথিরা অবাক হয়ে যায়। কেউ কেউ তাকে থামানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ইমন আরও বেশি উত্তেজিত হয়ে যায় এবং আশপাশের চেয়ার-টেবিল ভাঙতে শুরু করে।
অনুষ্ঠানের পরিবেশ তখন ভয়াবহ রূপ নেয়। চাচা করিম এবং তাহমিনার পরিবারের লোকেরা ইমনকে থামানোর চেষ্টা করে, কিন্তু সে কাউকে শুনতে রাজি হয়নি। কিছুক্ষণ পর স্থানীয় নিরাপত্তাকর্মীরা এসে ইমনকে আটক করে।
এই ঘটনার পর ইমন ও তাহমিনার সম্পর্কের সমাপ্তি ঘটে। বিয়ের অনুষ্ঠান চালিয়ে নেওয়া হলেও সবার মধ্যে একটা অস্বস্তি এবং গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। ইমনের পরিবারও এই ঘটনায় সামাজিকভাবে বিব্রত হয়।
ইমনের এই আচরণ নিয়ে সমাজে অনেক আলোচনা হতে থাকে। কেউ কেউ তার ভালোবাসার জন্য তার অবস্থানকে সমর্থন করে, আবার কেউ এর নিন্দা জানায়। তবে একটাই বিষয় স্পষ্ট হয়—প্রেম এবং পারিবারিক দায়িত্বের টানাপোড়েনে ইমন এক কঠিন পরিস্থিতির শিকার হয়েছিল।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন