বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারত টানা ১৭ বছর ধরে খোলা জায়গায় মলত্যাগের বিষয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে, ভারতে অনেক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও খোলা স্থানে মলত্যাগের অভ্যাস পুরোপুরি রোধ করা যায়নি। যদিও দেশটির সরকার ২০১৪ সালে "স্বচ্ছ ভারত অভিযান" চালু করে এই সমস্যার সমাধান করার প্রচেষ্টা চালিয়েছে, তবুও কিছু এলাকায় জনগণের মধ্যে সচেতনতার অভাব এবং পর্যাপ্ত স্যানিটেশন সুবিধার অভাব রয়ে গেছে।
এই অভ্যাস শুধু পরিবেশের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে না, এটি জনস্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত বিপজ্জনক। খোলা জায়গায় মলত্যাগের কারণে জল ও মাটি দূষিত হয়, যার ফলে বিভিন্ন ধরণের রোগ যেমন ডায়রিয়া, কোলেরা এবং টাইফয়েডের মতো রোগ ছড়ায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দীর্ঘদিন ধরে খোলা স্থানে মলত্যাগ বন্ধ করার জন্য স্যানিটেশন সুবিধার উন্নয়ন এবং সচেতনতা বৃদ্ধির পরামর্শ দিয়ে আসছে।
ভারতে জনসংখ্যার এক বিশাল অংশ এখনও সঠিক স্যানিটেশন সুবিধা পায় না, এবং অনেক গ্রামাঞ্চলে স্যানিটেশন অবকাঠামোর উন্নয়ন অপর্যাপ্ত। তবে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কিছু অঞ্চলে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, এবং শহরাঞ্চলে খোলা জায়গায় মলত্যাগের হার কমেছে। তবুও, সমস্যাটি পুরোপুরি সমাধান করা সম্ভব হয়নি, যা ভারতকে এই তালিকায় শীর্ষস্থানে রেখে চলেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ভারতের সরকারের যৌথ প্রচেষ্টা ছাড়া এই সমস্যার সম্পূর্ণ সমাধান অর্জন করা কঠিন। স্যানিটেশন সুবিধার উন্নয়ন, স্বাস্থ্য শিক্ষার প্রসার, এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই সমস্যা দূর করার লক্ষ্যে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
প্রতিবেদক: রাসেল মাহমুদ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন