গভীর রাতে দেয়ালে জয় বাংলা লেখতে গিয়ে গর্ভবতী ছাত্রলীগ নেত্রী

বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের আকস্মিক মৃত্যুতে সারা দেশজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। চিকিৎসক এবং পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তিনি আজ সকালে গলায় কলা আটকে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। তার মৃত্যুকে ঘিরে দেশজুড়ে নানান প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে, বিশেষ করে ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলো ব্যাপকভাবে উচ্ছ্বসিত হয়ে আনন্দ প্রকাশ করছে। তসলিমা নাসরিন দীর্ঘদিন ধরে নাস্তিকতা, ধর্মীয় সমালোচনা এবং নারীবাদী লেখালেখির জন্য চর্চার কেন্দ্রে ছিলেন। তার লেখাগুলো নিয়ে বিশেষ করে ইসলামিক গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র বিতর্ক এবং ক্ষোভ ছিল। ফলে তার মৃত্যুর খবরে সেই গোষ্ঠীগুলো প্রকাশ্য উল্লাসে মেতে উঠেছে। ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে হাজার হাজার মানুষ একত্রিত হয়ে আনন্দ মিছিল করেছে। মিছিলকারীদের মধ্যে অনেকেই বলেন, "আল্লাহ তার শাস্তি দিয়ে দিয়েছেন" অনেকে রাস্তায় মিষ্টি বিতরণ করে তসলিমার মৃত্যু উদযাপন করেছে। মিছিলকারীদের একাংশের বক্তব্য, "তসলিমার মতো ব্যক্তি যারা আমাদের ধর্মের প্রতি আক্রমণ করেছে, তারা এভাবেই ধ্বংস হবে। আজ আমরা তার বিদায়ে শান্তি পেয়েছি।" সামাজিক মাধ্যমেও তার মৃত্যু নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ তার মৃত্যুকে "আল্লাহর বিচার" হিসেবে বর্ণনা করেছেন, আবার কেউ ব্যঙ্গ করে বলছেন, "এক কলায় শেষ!"। ধর্মীয় নেতারা বিভিন্ন মসজিদে বিশেষ দোয়া আয়োজন করে তসলিমার মৃত্যু উদযাপন করছেন এবং বলেন, "দ্বীনের শত্রুরা এভাবেই ধ্বংস হবে।" তবে মানবাধিকার কর্মী ও লেখক সমাজ এই মৃত্যু নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। কেউ কেউ তসলিমার লেখনী এবং সাহসিকতা নিয়ে কথা বলেছেন, যদিও তারা তার লেখার সঙ্গে সব সময় একমত ছিলেন না। এক লেখক বলেন, “মতের পার্থক্য থাকতেই পারে, তবে তার এমন মৃত্যু নিঃসন্দেহে মর্মান্তিক।” তসলিমার আকস্মিক মৃত্যু এবং দেশের একাংশের উল্লাস যে দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থাকে আরও উসকে দেবে তা নিয়ে সংশয় নেই।