গভীর রাতে দেয়ালে জয় বাংলা লেখতে গিয়ে গর্ভবতী ছাত্রলীগ নেত্রী

২০১৩ সালের হঠাৎ করেই ফেইসবুকে একটি মেয়ের ছবি ভাইরাল হয়। নাম তার নীহারিকা। ঢাকার একজন সাধারণ মেয়ে, তবে তার হাসিতে যেনো আলাদা এক মায়া, চোখে এক অদ্ভুত স্বপ্নময় দ্যুতি। নীহারিকার ছবিটি প্রথমে তার এক বন্ধুর প্রোফাইল থেকে পোস্ট হয়, যেখানে সে একটি সরল হাসি মুখে তাকিয়ে আছে। ছবিটির সৌন্দর্য আর মায়াময়তা এতোই আকর্ষণীয় যে খুব দ্রুতই এটি ছড়িয়ে পড়ে সবার মাঝে। নীহারিকার এই ছবির পিছনের গল্প নিয়ে মানুষ আগ্রহী হয়ে ওঠে। কেউ কেউ বলে, "এই হাসির মধ্যে যেনো এক অদ্ভুত শান্তি আছে।" ফেইসবুকে অসংখ্য প্রোফাইলে তাঁর ছবি ওয়ালপেপার হিসেবে ব্যবহার হতে থাকে। এতটাই জনপ্রিয়তা পায় যে, প্রায় সকলের নিউজফিডে, প্রোফাইল ছবিতে বা স্ট্যাটাসে তাঁর মুখ দেখা যায়। এমনকি অনেকে তাঁকে ‘ফেইসবুক কুইন’ বলে ডাকতে শুরু করে। নীহারিকার জনপ্রিয়তার ঝড়ে তাঁর নাম সবার মুখে মুখে। বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়া, নিউজপোর্টাল তাঁর ছবি নিয়ে লেখালেখি শুরু করে। তবে, সেই সময়েও নীহারিকা খুব সাধারণ জীবনযাপন করতেন। তিনি ছিলেন মেধাবী ছাত্রী এবং পড়াশোনায় মনোযোগী। এই ভাইরাল হওয়ার ঘটনার পর তাঁর জীবনের প্রাইভেসি অনেকটা হারিয়ে যায়, তবে তিনি কখনোই এই জনপ্রিয়তাকে কেন্দ্র করে কিছু করার প্রয়োজন অনুভব করেননি। তাঁর পরিচিতরা তাঁকে পরামর্শ দেয় মডেলিং বা বিনোদন জগতে আসার জন্য, কিন্তু নীহারিকা সবকিছু থেকে নিজেকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত নেন। নীহারিকা বর্তমানে সফল একজন পেশাজীবী। তবে, এত বছর পরেও তিনি বিয়ে করেননি। ফেইসবুকের সেই ভাইরাল গার্ল নীহারিকার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মানুষের কৌতূহল আজও রয়ে গেছে। অনেকেই ভাবে, তাঁর সেই ছবির মতোই হয়তো তাঁর মনের মানুষ আসবে একদিন। কিন্তু নীহারিকা তার একান্ত জীবন নিয়ে খুশি, নিজের মতো করে স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকা তাঁর ভালো লাগে। নীহারিকার জীবন আজও রয়ে গেছে এক রহস্যের মতো—একজন সাধারণ মেয়ে, যিনি একসময় কোটি মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছিলেন তাঁর একটিমাত্র ছবির মাধ্যমে।