হঠাৎ বাংলাদেশের জনসংখ্যা বেড়ে ৪০ কোটিতে পৌঁছে যায়। দেশের অর্থনীতি এবং জনজীবনের ভারসাম্য রক্ষায় রাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের নীতি নির্ধারকরা চিন্তায় পড়ে যান। শহরগুলোতে প্রচণ্ড ভিড়, গ্রামে জমির অভাব, এবং বেকারত্বের হার আকাশ ছুঁয়ে ফেলে। রাস্তাঘাটে মানুষের ভিড় এতো বেড়ে যায় যে দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ক্রমশ কঠিন হয়ে ওঠে।
এই পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠে, জনগণের একটি অংশ দেশের উন্নয়নে কোনো বিশেষ ভূমিকা রাখছে না। তাদের শুধুমাত্র জনসংখ্যার বোঝা হিসেবে দেখা হচ্ছে, যাদের কারণে দেশের সম্পদ সংকট আরো গভীরতর হচ্ছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে একটি রিট দায়ের করা হয়। রিটে বলা হয়, দেশের জনসংখ্যা সীমা ছাড়িয়ে গেছে এবং যাদের কোনো অর্থনৈতিক বা সামাজিক অবদান নেই, তাদের ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
এরপর দীর্ঘ শুনানি শেষে হাইকোর্ট এক যুগান্তকারী রায় প্রদান করেন। আদালত নির্দেশ দেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যা ৪০ কোটিতে পৌঁছেছে এবং এর একটি বিশাল অংশ দেশের উন্নয়নে কোনো ধরনের অবদান রাখছে না। তাই যাদের কোনো "কন্ট্রিবিউশন" নেই, তাদের আগামী ৬ মাসের মধ্যে দেশত্যাগ করতে হবে অথবা তারা দেশের বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করে নিজ নিজ অবদান রাখতে বাধ্য থাকবে।
এই নির্দেশে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়, যারা কোনো পেশায় নেই, শিক্ষা কিংবা প্রশিক্ষণে নেই, এমন ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করা হবে এবং তাদের বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। আদালত আরও জানায়, এই রায় বাস্তবায়নের জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হবে, যারা নির্ধারণ করবে দেশের জন্য কোন কোন ব্যক্তি প্রয়োজনীয় এবং কারা অনুৎপাদনশীল।
এই রায়ের ফলে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়। কেউ কেউ এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন, কারণ তারা মনে করেন যে দেশের উন্নয়নের জন্য অবদান রাখতে হবে। অন্যদিকে, অনেকেই এই সিদ্ধান্তকে মানবাধিকারের লঙ্ঘন বলে দাবি করেন, কারণ এটি মানুষের দেশত্যাগের স্বাধীনতা হরণ করে।
সরকার জনগণের মধ্যে এই রায়ের প্রভাব নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়ে এবং আন্তর্জাতিক মহলেও এই রায় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
বাংলাদেশের জনসংখ্যা ৪০ কোটি যাদের কন্ট্রিবিউশন নেই তাদের দেশত্যাগের নির্দেশ
Tahsan Mahmud
0
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন