কলেজের শেষ বর্ষে পড়ার সময়ই সে ইন্টারনেট ঘেঁটে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানতে পারে অনিকা, ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে নিজের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে অর্থ উপার্জন করার সম্ভাবনায় সে মুগ্ধ হয় এবং শুরু করে অনলাইনে কাজ খোঁজা। প্রথমদিকে কিছু ছোটখাটো কাজ করলেও, ধীরে ধীরে নিজের যোগ্যতায় অনিকা ইমুতে স্থিতিশীল কাজ পেতে থাকে।
একদিন ফাহিমের সাথে অনিকার পরিচয় হয় অনলাইনে। দুজনের বন্ধুত্ব শুরু হলেও ধীরে ধীরে তা প্রেমে রূপ নেয়। ফাহিম নিজেও একজন উদ্যমী ছেলে, ফটোগ্রাফি এবং বাইকিংয়ের প্রতি তার তীব্র আগ্রহ। তার দীর্ঘদিনের ইচ্ছে ছিল একটি রয়্যাল এনফিল্ড বাইক কেনার, কিন্তু আর্থিক অবস্থার কারণে তা সম্ভব হচ্ছিল না। অনিকা তার স্বপ্ন সম্পর্কে সব জানত এবং চুপচাপ নিজের মনে একটি পরিকল্পনা গড়ে তোলে।
অনিকা ইমুতে কাজ করতে করতে নানা দেশের ক্লায়েন্টের জন্য প্রজেক্ট করতে শুরু করে। দিনরাত কাজ করে সে ভালো অঙ্কের আয় করতে থাকে। ফাহিমকে না জানিয়েই সে তার সঞ্চয় জমাতে থাকে। কয়েক মাসের মধ্যেই সে পর্যাপ্ত অর্থ জমিয়ে ফেলে। তার মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে—ফাহিমকে কীভাবে এই সারপ্রাইজ দেবে তা ভেবে।
আজ সকালে ফাহিমকে ফোন করে অনিকা বলে, "তুমি একটু শহরের মোড়ে আসতে পারবে? তোমার জন্য একটা চমক আছে।" ফাহিম কিছু না বুঝে ছুটে আসে। মোড়ে গিয়ে দেখে তার সামনেই একটি ঝকঝকে রয়্যাল এনফিল্ড বাইক দাঁড়িয়ে আছে, সাথে অনিকা হাসিমুখে দাঁড়িয়ে।
ফাহিমের চোখে বিস্ময়, আনন্দ এবং কৃতজ্ঞতার ঝলক। সে কিছু বলতে পারে না, শুধু বিস্ময় ভরা চোখে অনিকার দিকে তাকিয়ে থাকে। অনিকা বলে, "তোমার স্বপ্ন ছিল, আমি চাইনি তা অপূর্ণ থেকে যাক।" ফাহিম আবেগে বিহ্বল হয়ে অনিকাকে জড়িয়ে ধরে এবং ধন্যবাদ জানায়। সেই মুহূর্তটি তাদের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকে—ফ্রিল্যান্সিংয়ের উপার্জনের মাধ্যমে ভালোবাসার মানুষকে একটি অসাধারণ উপহার দেওয়ার আনন্দে পরিপূর্ণ অনিকা, এবং নিজের স্বপ্ন পূরণ হওয়ার মুহূর্তে খুশিতে ভরা ফাহিম।
ইমুতে ফ্রিল্যান্সিং করে প্রেমিক ফাহিম'কে বাইক উপহার অনিকার
Tahsan Mahmud
0
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন