অক্টোবরের এক শীতল সকালে, ভারতীয় সেনার একটি ছোট্ট দলকে চীন-ভারত সীমান্তের একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাহারার দায়িত্ব দেওয়া হয়। জায়গাটি ছিল অরুণাচল প্রদেশের পাহাড়ি এলাকা, যেখানে তীব্র ঠাণ্ডা এবং শ্বাসরুদ্ধকর উচ্চতা সেনাদের শারীরিক ও মানসিক সহনশীলতার পরীক্ষা নিচ্ছিল। দলটি কঠোর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হলেও, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে হলে শক্তিশালী যোদ্ধারাও কখনও কখনও অসহায় হয়ে পড়ে।
সেদিন সকালের ঘটনা। সীমান্তের নিকটবর্তী জঙ্গলের এক পাশে সেনাবাহিনীর ১২ জন সদস্য নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে অবস্থান নেন। তারা ঠিক করেছিল, নিরাপদ দূরত্বে গিয়ে মলত্যাগ করবেন। তাদের ধারণা ছিল, স্থানটি নিরাপদ এবং চীনা সেনাবাহিনীর নজর এড়িয়ে গেছে। তবে তারা বুঝতে পারেনি, চীনা সেনার উন্নত প্রযুক্তি ও কৌশলী নজরদারি ব্যবস্থা সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছে।
যখন এই ১২ জন সেনা মলত্যাগ করছিলেন, হঠাৎ চীনা সেনার একটি টহলদল তাদের ঘিরে ফেলে। পরিস্থিতি এত দ্রুত ঘটে যে ভারতীয় সেনারা প্রতিরোধ করার সুযোগই পাননি। চীনা সেনারা তাদের আটক করে এবং সীমান্ত পার করে চীনের অভ্যন্তরে নিয়ে যায়।
আটক সেনাদের কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং চীনা সামরিক কর্তৃপক্ষের সামনে তারা পরিস্থিতির ব্যাখ্যা দিতে বাধ্য হন। যদিও এটি পুরোপুরি একটি ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা ছিল, তবে বিষয়টি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কূটনৈতিক উত্তেজনার সৃষ্টি করে।
ভারত এবং চীন উভয় দেশের সামরিক ও কূটনৈতিক কর্মকর্তারা পরিস্থিতি দ্রুত শান্ত করার চেষ্টা করেন।
চীন সীমান্তে মলত্যাগ করতে গিয়ে আটক বারো জন ভারতীয় সেনা
Tahsan Mahmud
0
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন